<< দেশে আটকেপড়া কর্মীদের মালয়েশিয়ায় ফেরার সুযোগ

করোনা মহামারির সময়ে দেশে ছুটিতে এসে যারা আটকা পড়েছেন তাদের মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার পথ এবার সুগম হয়েছে। My travel pass অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে শর্তসাপেক্ষে দেশটিতে ফিরতে পারবেন। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। সম্প্রতি দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতোক সেরি খায়রুল দাজায়মি দাউদ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশসহ ৫টি দেশ থেকে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর খায়রুল দাজায়মী দাউদ বলেছেন, সাধারণ কর্মীরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে মাই ট্রাভেল পাসে আবদেনপূর্বক সেখানে উল্লেখিত সব শর্ত বুঝতে ও মানতে হবে।

অভিবাসন বিভাগের নির্ধারিত শর্তগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। দাউদ বলেছেন, মহামারি ব্যবস্থাপনা বিশেষ কমিটি পাঁচটি দেশের কাজের লোকদের পুনরায় প্রবেশের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।

যাদের পিএলকেএসের ক্যাটাগরি প্লানটেশন, এগ্রিকালচার ও কনস্ট্রাকশন ভিসা রয়েছে তারা আগে অনুমতি পাচ্ছেন। কারণ এসব সেক্টরে শ্রমিক সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

গত বছরের মার্চে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই টানা লকডাউনে চলে যায় পুরো দেশ। এ সময় পারমিটধারী বাংলাদেশি কর্মী যারা ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তারা ফিরতে পারেননি। বেশিরভাগ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে করোনার কারণে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ও জিডিপি ২২ বছর পর এই প্রথম হুমকির মুখে পড়েছে। শ্রমিক সংকটে তাদের শিল্প বাণিজ্যে উৎপাদন কমে গেছে।

মালয়েশিয়ায় ফেরা না ফেরা নির্ভর করছে স্ব-স্ব মালিক বা নিয়োগকর্তার সহযোগিতার ওপর। আবেদন করে মালিকের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমতি নিলেই দেশটিতে প্রবেশ করা সম্ভব। কোনো দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমে কন্ট্রাক করে প্রতারিত না হওয়ার জন্য দূতাবাস থেকে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ দালাল বা এজেন্ট এ সংক্রান্ত কোনো ক্ষমতা রাখে না।

আবেদন প্রক্রিয়ার প্রথমেই মালিকের সাথে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ও ভিসার কপি দিয়ে My travel pass  নামক ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। সব শর্ত এমটিপি অ্যাপে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। আবদেন গৃহীত হলে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করা থাকতে হবে,  করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট, বিমানের টিকিট, মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নতুন স্থাপিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিজ বা মালিকের খরচে ২১ দিন থাকতে হবে।

আগে কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকতে হতো এখন তা বাড়িয়ে ২১ দিন করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি সহজ ও ঝামেলামুক্ত। প্রত্যেক কর্মী তাদের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলেই বিষয়টি সহজ হয়ে যায়; কিন্তু মালিকের সম্মতি ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবেশ জটিল হতে পারে। ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের ফেরার ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, দেশে ছুটিতে গিয়ে যেসব প্রবাসী আটকে আছেন তাদের মাই ট্রাভেল পাস অ্যাপের মাধ্যমে আবেদনের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এটি নির্ভর করছে সম্পূর্ণ নিয়োগকর্তার ওপর। এজন্য সবাইকে যার যার নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *