<< শ্লীলতাহানির মামলায় কারাগারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস

শ্লীলতাহানির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার এ মামলার ধার্য তারিখ থাকায় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন আদালতে হাজিরা দিতে ঢাকা মহানগর আদালতে এসেছিলেন। এসময় তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির অভিযোগে সবুজবাগ থানায় এক নারী চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানি নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস সেই দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।

চাঁদার বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী চিত্তরঞ্জন দাসকে ফোন করেন। তখন চিত্তরঞ্জন তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।  রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান।

সেখানে চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। পরে চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন এবং ওই নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।

এ অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় ওই নারী চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে চিত্তরঞ্জন দাসের দাবি, সেখানে কোনো শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। ফেসবুকে যা ভাইরাল হয়েছে তা ছিল নাটকের রিহার্সাল।

পরে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান চিত্তরঞ্জন। ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *