<< মৎস্য সংরক্ষণে জেলেদের রেশনিংয়ের আওতায় আনার দাবি

মৎস্য সংরক্ষণের জন্য জেলেদের রেশনিংয়ের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) কাকরাইলে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদের অন্যতম হচ্ছে মৎস্য সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষায় জেলে, কৃষক ও সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগ প্রয়োজন। কারণ মিঠা পানির বিভিন্ন মাছের প্রজাতি বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। মিঠা পানির হাওড়, বাঁওড়, প্রাকৃতিক উৎসের মৎস্য সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে নির্দিষ্ট স্থানে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে এবং জলাশয়ের কৃষি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব কারণে বিভিন্ন সময় জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। জেলেদের মানবিক জীবনের কথা চিন্তা করে এবং মৎস্য সংরক্ষণের জন্য জেলেদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।

তারা আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদী নির্দিষ্ট সময়ের সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত থাকা জেলেদের মানবিক সহায়তা প্রদান ও প্রকল্পের আওতায় রেশনিং সহায়তা দেওয়া উচিত। জেলারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে প্রতিটি মানুষের খাওয়ার প্লেটে মাছ পৌঁছে দেয়। অথচ এসব জেলেরাই অসহায় জীবন যাপন করেন। অনাহারে অভাবে তাদের পরিবার নিয়ে জীবন পরিচালিত করতে হয়। তাই অনিয়ম, দুর্নীতি রোধ করে জেলেদের যথাযথ মূল্যায়ন করা মানবিক দাবিতে পরিণত হয়েছে।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসলাম আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয়সহ সভাপতি বাবু গোপাল চন্দ্র রাজবংশী, আমির হামজা, রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু গুরুদাস হালদার, যুগ্ম মহাসচিব সুরুজ্জামান, ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মালেক দেওয়ান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *