<< বিশ্বজুড়ে আরও ৪ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল

নতুন বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। রোববার (২ জানুয়ারি) সারা বিশ্বে চার হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে এক যুক্তরাষ্ট্রেই বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা সারা বিশ্বের মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।

মূলত বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি এবং শীতকালীন খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এতো বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে এয়ারলাইন্সগুলোকে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে শনিবারও সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে চার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার.কম-এর তথ্য অনুযায়ী, রোববার গ্রিনিচ মান সময় রাত ৮টা (বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ২টা) পর্যন্ত সারা বিশ্বে চার হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে এক যুক্তরাষ্ট্রেই বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৪০০-র বেশি ফ্লাইট।

এছাড়া রোববার বিশ্বজুড়ে ১১ হাজার ২০০-র বেশি ফ্লাইটের ভ্রমণ বিলম্ব হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফ্লাইটঅ্যাওয়ার.কম। ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট বাতিল করা এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কাইওয়েস্ট এবং সাউথওয়েস্ট নামক দু’টি বিমান সংস্থা। রোববার এয়ারলাইন্স দু’টি যথাক্রমে ৫১০টি এবং ৪১৯টি ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করে।

ক্রিসমাস এবং নববর্ষের ছুটি কাটানোর পর বছরের এই সময়টাতে সাধারণত আকাশপথে ভ্রমণে ব্যাপক চাপ হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।

এয়ারলাইন্সগুলোর বহুসংখ্যক পাইলট ও কেবিন ক্রু করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ায় কর্মী সংকটে ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে বহু বিমান সংস্থা। এছাড়া ফ্লাইট বাতিলের কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু জায়গায় শীতকালীন খারাপ আবহাওয়াকেও দায়ী করছে এয়ারলাইন্সগুলো।

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট কারণে কর্মীর ঘাটতি দেখা দেওয়ায় পরিবহন সেবাদাতা মার্কিন সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তাদের পরিষেবা স্থগিত বা কমিয়ে এনেছে।

বার্তাসংস্থাটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কমপক্ষে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে শনিবার দেশটিতে মারা গেছেন অন্তত ৩৭৭ জন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ জনে।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি এয়ারলাইন্স ইউনিয়ন জানিয়েছে, বড় আকারের আর্থিক ইনসেনটিভ বা সুবিধা ঘোষণা করা সত্ত্বেও এয়ারলাইন্সগুলোতে কর্মরত কেবিন ক্রু, পাইলট এবং সাপোর্ট স্টাফরা ছুটির দিনগুলোতে কাজ করতে চাচ্ছেন না। আর এ কারণেও কর্মী সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *