<< সবার আগে সেমিতে ইংল্যান্ড

বিশ্বকাপ খেলতে ফেবারিটের তকমা নিয়ে এসেছিল ইংল্যান্ড। ফেবারিটের মতই খেলে যাচ্ছে প্রতিটি ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ ছিল তাদের লিগ পর্বে চতুর্থ ম্যাচ। এই ম্যাচেও লঙ্কানদের ২৬ রানে হারিয়েছে তারা। সে সঙ্গে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড।

আগের তিন ম্যাচে ইংলিশরা হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়াকে। এবার লঙ্কানদের অনায়াসে হারিয়ে দিল তারা। টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি উঠে এলো ইংলিশ ওপেনার জস বাটলারের ব্যাটে। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ইংল্যান্ড।

জবাব দিতে নেমে ১৯ ওভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা। ফলে ২৬ রানে হার মানতে বাধ্য হয় তারা।

শারজাহর উইকেটে ১৬৪ রানের লক্ষ্য অনেক বড়। তবে, শ্রীলঙ্কা শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও জয়ের পথেই ছিল। বিশেষ করে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে দাসুন সানাকা এবং ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এবং সমানতালে লড়াই করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল বুঝি ম্যাচটা খুব ক্লোজ হবে। এমনকি লঙ্কানদের জয়ের সম্ভাবনাও ছিল।

তবে ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে লিভিংস্টোনের বলে একেবারে সীমানার কাছে জেসন রয় আর পরিবর্তিত ফিল্ডার স্যাম বিলিংসের যৌথ চেষ্টায় ধরা ক্যাচে হাসারাঙ্গা আউট হওয়ার পরই খেলার মোড় ঘুরে যায়। পরের ওভারেই আচমকা বাটলারের এক থ্রোয়ে সানাকা রানআউট হওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে যায় লঙ্কানরা হারতে চলেছে এবং প্রথম দল হিসেবে সেমি নিশ্চিত করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। এরপর চামিকা করুনারত্নে, দুষ্মন্তে চামিরা এবং মহেস থিকসানা দ্রুত ফিরে গেলে ১ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট শ্রীলঙ্কা।

১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই বিপদের সম্মুখিন হয় শ্রীলঙ্কা। ১ রানেই রানআউট হয়ে যান আগের ম্যাচে রান পাওয়া পাথুম নিশাঙ্কা। কুশল পেরেরা ৯ বলে ৭ রান করে ফিরে যান। এরপর চারিথ আশালংকা ১৬ বলে ২১ রান করেন। আভিস্কা ফার্নান্দো ১৪ বলে করেন ১৩ রান। ভানুকা রাজাপাকসে যখন ১৮ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন তখন লঙ্কানদের রান ৫ উইকেটে ৭৬।

এরপরই আশার প্রদীপ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক দাসুন সানাকা এবং ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা। কিন্তু তাদের লড়াইটা বিফলে গেলো, পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমলো তাতে।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *